শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:০৮ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি॥ বরিশালে জন্ম নেয়া হার্লেকুইন শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়া হয়েছে। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল থেকে শিশুটিকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন তার বাবা-মা। রাত ১২টার দিকে তারা ঢাকা বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌছান।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বরিশাল নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে জন্ম নেয় হার্লেকুইন শিশুটি। সে বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার চরশেফালী গ্রামের হাবিবুর রহমান ও মর্জিনা বেগম দম্পতির সন্তান। বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে শেবাচিম হাসপাতালের নবজাতক ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।
শিশুটির হাত-পা সবকিছু ঠিক থাকলেও পুরো শরীরে সাদা একটি আবরণ রয়েছে। যার মাঝে মাঝে লাল দাগ রয়েছে। চোখ দুটিও আবরণে ঢাকা। দেখলে মনে হবে চামড়া ফেটে এখনই রক্ত বের হবে।
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের সাবেক প্রধান ডা. সৈয়দ জাহিদ হোসেন বলেন, নবজাতকটি বিরল রোগ কলয়েডিয়ান বা হার্লেকুইনে আক্রান্ত। এ ধরনের রোগে আক্রান্ত রোগী খুব বেশি দেখা যায় না। জিনগত কারণে এ ধরনের চর্ম রোগ দেখা দেয়। এছাড়া ওই নবজাতক অপরিণত ভূমিষ্ট হয়েছে। স্বাভাবিক ওজনের চেয়ে ওই নবজাতকের ওজনও কম।
এদিকে হাসপাতালের শিশু বিভাগের ইউনিট প্রধান ডা. উত্তম কুমার দাস বলেন, এই শিশুর চিকিৎসা ব্যবস্থা বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নেই। তবে এর ভবিষ্যৎ কি সেটাও এখনই বলা যাচ্ছে না। তার পরেও শিশুটিকে তার বাবা-মা ঢাকায় নিয়ে যাবার ইচ্ছে পোষণ করেছে। তাই শুক্রবার দুপুরে আমরা তাদের ছাড়পত্র দিয়ে ঢাকায় ঢাকায় প্রেরণ করেছি।
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগের প্রধান ডা. বিপ্লব কুমার দাস জানান, স্বাভাবিক মানুষের চামড়ার কয়েকটি স্তর থাকে। তবে এ নবজাতকের উপরিভাগের গ্লান্ডটি তৈরি হয়নি। এ কারণে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে গিয়ে পরে পানি শূন্যতা দেখা দিতে পারে। তবে এ নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। চিকিৎসার পাশাপাশি বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভালো হয়ে যাবে।
Leave a Reply